স্টাফ রিপোর্টার
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আপিলে তিনি মোট ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে মোট ১২২২ পৃষ্ঠার আপিল ফাইল করেছেন। যুক্তিতে তিনি বলেছেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের সঙ্গে আমি জড়িত নই। এ ট্রাস্ট্রের আমি ট্রাস্ট্রিও না, সাধারণ সদস্যও না। কাজেই এ মামলায় আমাকে আসামি করে আদালত সাজা দিতে পারেন না।
আপিলের যুক্তির এ বিষয়গুলো জানান খালেদা জিয়ার আপিলকারী আইনজীবীদের একজন সগীর হোসেন লিওন।
রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই মূলত তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যুক্তিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। এ দলের নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট এবং দেশের সাধারণ মানুষের কাছে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে সোনালী ব্যাংক রমনা শাখার হিসাব নম্বরে যে টাকা দেশের বাইরে থেকে এসেছে সেখান থেকে নিজের নামে কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি। কোনো চেক লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেছেন খালেদা। রমনার ওই অ্যাকাউন্টে তার কোনো স্বাক্ষর নেই। এই লেনদেনের সঙ্গে তার কোনো যোগসৃত্র নেই বলেও দাবি করেন।
তিনি যুক্তিতে বলেছেন, ‘এ মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেননি। পরবর্তীতে মামলার বাদী দুদকের কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ এ মামলায় তদন্ত করে আমাকে অভিযুক্ত করেছেন। প্রথমে তদন্ত করে অভিযুক্ত না করলেও পরে কেন অভিযুক্ত করা হলো। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
আপিলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আরও তুলে ধরেছেন আইন বহির্ভুতভাবে তাদের মক্কেলকে সাজা দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের ৪০৯ ধারা অনুযায়ী বিশ্বাস ভঙ্গের সহায়তার দায়ে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
‘এই ট্রাস্টের সঙ্গে আমি জড়িত না, কাজেই বিশ্বাস ভঙ্গ বা বিশ্বাস অর্জন করার কোনো সুযোগ নেই। আপিলে বলা হয়েছে। ৪০৯ ধারায় সাজা দিয়ে আইন অমান্য করা হয়েছে বলেও তার যুক্তিতে তুলে ধরেছেন আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ওই দিন থেকেই কারাবন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া।
আপনার মন্তব্য