
জসিম উদ্দীন জিহাদ,
ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হলেও কিছু তালিকাভুক্ত গডফাদার উপস্থিত হয়েছিলেন আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের দেখতে। তাদের মধ্যে চিহ্নত শীর্ষ ৫ জন গডফাদারকে দেখা গেছে স্বরূপে দর্শক সারিতে বসে আত্মসমর্পনকারীদের দৃশ্য মনোযোগ সহকারে অনুভব করতে।
শনিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দেশে প্রথম বারের মত ইয়াবাকারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন ১শ ২ইয়াবা কারবারি সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন।
উপস্থিত গডফাদাররা হলেন, ইয়াবা কারবারির তালিকায় নাম থাকা টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমেদ ও তার ছেলে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দীন ও তার ভাই বাহার ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দীন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান লেদু। কক্সবাজারে শীর্ষ ৭৩ ইয়াবা কারবারির তালিকায় তাদের প্রত্যেকের নাম রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পাশের সারিতে বসা কয়েকজন দর্শক পুলিশ ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইশারাতে বলতে দেখা গেছে
ছোট কারবারিরা আত্মসমর্পণ করছে তাদের গডফাদাররা অতিথি হয়ে তা দেখছে দেশে কি কোন আইনকানুন নাই। এ কথা শুনে পাশে উপস্থিত ডিউটিরত কয়েকজন পুলিশকে বিব্রত হতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টেকনাফের স্থানীয় একজন সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এত বড় ও সরকারে সুন্দর আয়োজনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইচ্ছে করে এরা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনি বলেন কয়েকদিন পর যখন পরিস্থিতি একটু বদলাবে দেখবেন এসব গডফাদাররা বড়াই ও আত্মসমর্পণকারীর স্বজনদের বলবে তোদের ছেলেদের অনুষ্ঠানে আমরা অতিথি ছিলাম। সরকার আমাদের অতিথি করে ডেকে নিয়েছিলো।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বলেন, তাদের সরকার যে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন। আর যদি তা না হয় তাদের সাথে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ হয়।
এদের মধ্যে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ ইতি মধ্যে দাবি করেছেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশের পক্ষথেকে কোন প্রক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আপনার মন্তব্য