
বালিকা-৬
বালিকা তুমি বিকশিত হও,
তুমিতো অন্যদের মত নও!
তোমায়যে আমি দেই পাহারা
তোমায় না পেলে হব সর্বহারা।
তোমায় না দেখলে মন অসান্ত
তোমার পরশে হইযে যাই শান্ত
তোমার শুন্যতায় হই উথাল-পাথাল
তোমার পূর্ণতায় রেঙ্গে হই লাল।
তোমার হাসি দেখে হৃদয় নাচে-হাসে
তাইতো থাকি তোমার আশে-পাশে
করি সদা তোমার অপেক্ষা
কখন যে পাই তোমার দেখা!
তোমায় কেন এত ভালো লাগে?
সেকথা বুঝিনি দেখার আগে
এখন দেখি তুমিই মরন
সারাবেলা করি তোমাকে স্মরণ।
রচনা কাল ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
বালিকা-৭
বালিকাটির নয়ন পটর চেরা
দেখলে মনে হবে সে মন চোরা
বালিকাটির হাসি শক্তিশালী
দেখলে হৃদয় হয়যে ফালিফালি।
বালিকাটির গালে ছোট্ট টোল
অঙ্গযে তার তানপুরারই খোল
বালিকাটির চলন বলন বেশ!
দেখে আমি হয়ে গেছি শেষ।
বালিকাটির জোড়া ভূরুর খেলা
দেখে দেখে কাটে সারা বেলা
কাজল কালো চোখের মনি দুটি
দেখার পরেই লেগেছে মোর শনি।
বালিকাটির ঘন কালো কেশ
দেখার পরে কাটে না তার রেশ
এক দেখাতেই কাটে সরা দিন
কেমনে করি তোমায় হেরা’র ঋণ?
রচনা কাল ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
বালিকা-৮
বালিকা তোমার রুপের এত ঝলক
দেখলে পরে পড়ে নাতো পলক
কেমনে করি রুপেরই ব্যবচ্ছেদ
তাইতো আমার হৃদয়ে এত খেদ।
তোমার কানে ঝুলছে ঝুমকা ফুল
লজ্জা পায় সে তুমিয়ে খাটি ফুল!
তার কাছেতে তুমিই অলংকার
পড়তে চায়সে করে গলার হার!
কাশফুলেতে বুলাও যখন পরশ
তোমার রূপ তারচেয়েও সরেস!
কাশফুলগুলো পায়যে তখন শরম
ভাবে ওরা, হাতটা কিযে নরম!
ছুটো যখন ঘাসফরিংয়ের পিছন
নেচে ওঠে ফরিংয়েরই দেহ-মন
আমি দেখি ফরিং-তোমার খেলা
আনন্দে ভাসাই স্বর্গপানে ভেলা।
রচনা কাল ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
বালিকা-৯
বালিকার চোখ হাসে ঝলোমল
দেখতে যেন দীঘির কালো জল
ওই জলেতে ডুবে গেছি আমি
সে জানেনা, জানে অর্ন্তজামি।
চিকন কালো ভুরুর নাচন দিলে,
আমার হৃদয় ধড় হতে কেড়ে নিলে
দেখে তোমার ঠোটের বাকা হাসি
গলায় পড়লো তোমার প্রেমের ফাঁসি।
বলবো কি আর তার গালেরই কথা
গালটিযে তার বিশাল কাব্য গাথা
টোল পড়া গাল, রুপে চাঁদের মত
কলঙ্ক নয়, অপরূপ সেই ক্ষত।
ঠোট বাকালে গালদুটো তার হাসে
টোল পড়া গাল সবাই ভালোবাসে
ঠোটের কোনে ছোট্ট তিলকখানি
অঢেল রূপযে তাকে দিলো আনি।
রচনা কাল ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১
বালিকা-১০
বালিকাটির নাকে পড়া নোলক
রূপ দেখে পাগল হলো ভূলোক
আমি পাগল হয়েছি সেই কবে
মরেই যাব তাকে না পেলে ভবে!
বালিকা তোমার নাকটা যেন বাশি
দেখতে বেশ, যেমন তোমার হাসি!
সরু ডগায় ঘাম বিন্দু বিন্দু
বিন্দুতেই আছে প্রেম সিন্ধু।
নাক ফুলিয়ে যখন কাদো তুমি
সব লাগে যেন বিরান ভূমি
চোখের কোনে অশ্রু দেখি যখন
ধরণীটা তুচ্ছ লাগে তখন।
বালিকা যখন উচ্ছল, খেলে-হাসে
পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় আসে
মুখটি যখন করে রাখে ভার
প্রাণটা আমার হয়ে যায় বার।
রচনা কাল ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
বালিকা-১১
বালিকা নিয়ে কাটছে সময় বেশ!
কাটতে চায় না তার রূপেই রেশ
হাবুডুবু খাচ্ছি তাহারই প্রেমে
কারো কথায় যাবো নাকো থেমে।
এমন রূপের কদর যদি না করি
এমন রূপের প্রেমে যদি না পরি
এমন রূপের শোভা যদি না হেরি
শান্তি পাবোনা এই ধরণী ছাড়ি।
বালিকাটির রূপের এতই ঝলক
দেখলে পরে পড়বে নাতো পলক
এক দেখাতে কাটবে হাজার সন
তাইতো দিলাম বালিকাকেই মন।
তোমায় পেলে চাই না আমি হুর
সব কিছুকে করবো যে দূর দূর!
তোমায় পেলে সব যে হবে পাওয়া
তাইতো শুধু তুমিই আমার চাওয়া।
রচনা কাল ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
বালিকা-১২
বালিকা তুমি বালিকা হয়েই থাকো
রমনী কিংবা বুড়ি হইও নাকো
থাকো তুমি দূরন্ত চিরদিন
রূপটা থাকুক চির অমলিন।
বালিকা তুমি হাসি-খুশিই থেকো
মুখটি কভু ভর করিও নাকো
অশ্রু জলে ভিজিওনা দুটি চোখ
তোমার জীবন আনন্দময় হোক।
বালিকা তুমি মন কোরোনা ভারী
কষ্টের সাথে দিয়ে রেখো আড়ি
আনন্দ হোক তোমার খেলার সাথী
প্রফুল্ল হোক জীবন, দিবা-রাতি।
বালিকা তুমি কষ্ট পেলে পরে
ভাসি আমি দুঃখেরই সাগরে
হৃদয় আমার ভেঙ্গে হয় খান-খান
সকল প্রাপ্তি মূহুর্তেই হয় ম্লান।
রচনা কাল ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
সমস্ত লেখা কবি নিজে সংরক্ষণ করেন।
আপনার মন্তব্য