স্টাফ রিপোর্টার
গর্ভপাতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সাংবিধানিক সংশোধনীর জন্য গণভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। চার ঘণ্টাব্যাপী আইরিশ পার্লামেন্টের এক বিশেষ সভায় গর্ভপাত সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের।
নতুন আইনে বলা হয়, গর্ভপাতে ইচ্ছুক যেকোনো নারী যেকোনো আইরিশ হাসপাতালে গর্ভবতী হওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে পারবেন।
এই মিটিংয়ের শেষে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতের বিষয়টা অত্যন্ত বিপদজনক, অনিয়ন্ত্রিত ও আইনের বিরোধী ঘটনা। আমাদের সমস্যাগুলো নিজেরা সমাধান না করে বাইরের সাহায্য নিতে পারি না।’
আইরিশ মন্ত্রিসভা একটি রেফারেন্ডাম কমিশন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার মাধ্যমে বিরোধীদল সহ সর্বস্তরের মানুষকে গণভোটের জন্য প্রস্তুত করবে। আগামী মে মাসে এ গণভোটটি নেয়া হবে।
দেশটির সংবিধান অনুসারে কোনো সংশোধনী গণভোটের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। এ পরিস্থিতিতে ভোটের আগে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাটর্নিস্টিক গর্ভপাতের অনুমতি দিতে একটি আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনে জানান সরকার এ ইস্যুটি নিয়ে কাজ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, নারীদের গর্ভপাতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এ স্তিতাবস্থা থাকতে পারে না। আমি আমার মন্ত্রিসভার সকল সদস্যের সাথে অষ্টম সংশোধনী বাতিল এবং আইন কার্যকর করার ব্যাপারে সহমত পোষণ করছি।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ আইরিশ জনগণ এবং সেখানকার অধিকাংশ সংসদ সদস্য এখন গর্ভপাত বিরোধী এ সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা মোচনের পক্ষে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে আয়ারল্যান্ডের ৬৭% ভোটার গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে রায় দেয়। এমনকি ধর্ষণের শিকার নারীদের ও ভ্রুণ অস্বাভাবিকতার কারণে কোনো বাচ্চা গর্ভে মরে যেতে পারে এবং গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হতে পারে এইরকম নিশ্চিত হওয়ার পরও গর্ভপাত করা আইনবিরোধী। এজন্য প্রত্যেক বছরই আয়ারল্যান্ড থেকে সহস্রাধিক আইরিশ নারী ইংল্যান্ড পাড়ি জমান গর্ভপাত করানোর জন্য।
আপনার মন্তব্য