
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়ায় অবস্থিত ইবনে তাসলিমা নাসির স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী এবং তার সামনে দাড়িয়ে হস্তমৈথুন করার দায়ে আক্তারুজ্জামান (৩১) নামে একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
১১ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল ৫টায় এই কারাদন্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত। আক্তারুজ্জামানের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা সূর্যমনি গ্রামে। তার পিতার নাম লুৎফর রহমান মুন্সি। আক্তারুজ্জামান পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে আক্তারুজ্জামান ইবনে তাসলিমা নাসির স্কুল এন্ড কলেজের ভিতরে ঢুকে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হাতের ইশারায় ডাকেন। ছাত্রীটি কাছে না আসায় আক্তারুজ্জামান ঐ ছাত্রীটির সামনেই হস্তমৈথুন করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে ছাত্রীটি স্কুলের সিনিয়র ভাইকে জানালে তারা আক্তারুজ্জামানকে স্কুলের ভিতর ধরে আনেন।
ঠিক সেই মুহুর্তে স্কুলের অধ্যক্ষ বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় পরীক্ষা করেন এবং তার সত্যতা পান। স্কুলের অধ্যক্ষ তাৎক্ষণিক ভাবে আংগারিয়া পুলিশ ফারিতে খবর দেন। তখন আংগারিয়া ফারির পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করেন। বিকেল ৫টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান শেখ তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আক্তারুজ্জামানকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, আমি ব্যাপারটি শোনার পর তাৎক্ষণিক ভাবে স্কুলে চলে আসি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমি আবাক হয়ে যাই। ছাত্রীদের সামনে অশ্লিল এবং আপত্তিকর কাজ করায় দন্ডবিধির ৫০৯ নং ধারা মতে অপরাধ করায় আক্তারুজ্জামানকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য