
স্টাফ রিপোর্টার
কয়েকদিন আগে যে স্থানটিতে ছিলো ময়লা আবর্জনায় ভরপুর, আজ সেই স্থানটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলা হয়েছে উন্মুক্ত পাঠাগার। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সেই পাঠাগারের নাম দেয়া হয়েছে “একুশ”। সব শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য এ পাঠাগারটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এখান থেকে বই নিয়ে পড়বে, পড়া শেষ হলে তা আবার ফেরৎ রেখে যাবে এখানেই। আর এই অমায়িক উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই।
কিছুদিন আগেও তার বাস ভবনের সামনে ছিলো আবর্জনায় স্তুপ। সে স্থানটি পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলা হলো উন্মুক্ত পাঠাগার “একুশ”। জায়গাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পরে অনেকেই বাগান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সংস্কৃতমনা এই মানুষটি সেখানে বাগান না করে গড়ে তুললেন একটি উন্মুক্ত পাঠাগার। দিনের ২৪ ঘন্টা ও সপ্তাহে ৭ দিনই সব শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য খোলা থাকছে এই পাঠাগার। এখান থেকে বই নিয়ে বই পড়ে আবার ফেরতসহ যে কোন বাংলা বই উন্মুক্ত পাঠাগারে প্রদান করে পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করা যাবে।
এখানে কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বর্ণমালাসহ বাংলা ভাষায় রচিত সকল বই মিলবে এই পাঠাগারে। এদিকে উন্মুক্ত পাঠাগারটি পেয়ে মহাখুশি বই প্রেমিরা।
উন্মুক্ত পাঠাগার “একুশ” উদ্বোধন করতে এসে জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, মুজিববর্ষ এবং স্বধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আর একটি উন্মুক্ত পাঠাগার “একুশ” যোগ হলো। তিনি বলেন, একুশ আমাদের বিশ্বাস, একুশ আমাদের চেতনা। সেই একুশের চেতনায় এই পাঠাগারটি চলমান থাকবে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, আমার বাসার সামনে ছিলো আবর্জনার স্তুপ। সেই আবর্জনার স্তুপ পরিস্কার করে সেখানে বাগান না করে একটি উন্মুক্ত পাঠাগার করা হয়েছে। মানুষের রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে, সাধারণ মানুষকে কাছে আনার জন্যই এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। যেহেতু লেখালেখি করি তাই পাঠককে একটু কাছাকাছি আনার চেষ্টা। একুশকে বুকে ধারণ করেই আমার এই উদ্যোগ। বাংলা ভাষা ব্যতিত এখানে অন্য কোন ভাষার বই থাকবে না। এছাড়ও এখানে বাংলা পত্রিকাও রাখা হবে।
আপনার মন্তব্য