স্টাফ রিপোর্টার
জাতীয় মৎস্য পদক পেয়েছেন নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন। মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তার স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক প্রদান করা হয়।
৩০ জুলাই সোমবার বিকেল ৪ টায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ এর সমাপণী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিনসহ আরও ১৭ জনের হাতে এ পদক তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
সানজিদা ইয়াসমিন ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই প্রতি বছর জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষাসহ উপজেলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখেন তিনি। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ এ সম্মাননা পদক দেন জাতীয় মৎস অধিদপ্তর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকারী নির্দেশনা মেনে আইন বাস্তবায়ন করারর চেষ্টা করেছি। নিজের কাজের স্বীকৃতি পাওয়াটা খুব আনন্দের। জাতীয় মৎস্য পদক পাওয়ায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ পদক আমার জন্য ভবিষ্যতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
সানজিদা ইয়াসমিন দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার ঈদগাঁ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। বাবা মৃত শামসদ্দিন আহম্মেদ এবং মা রওশন জাহানের একমাত্র মেয়ে তিনি। ১৯৮৯ সালে দিনাজপুরের সেন্ট ফিলিপস স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করেন। পরে ১৯৯৫ সালে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৭ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হয়ে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ২০০১ সালে স্নাতক এবং ২০০২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। স্নাতক শেষ হওয়ার পরপরই বিয়ে হয়ে যায় তারই পছন্দের পাত্র ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের সঙ্গে। পরে স্বামীর অনুপ্রেরণায় দেড় বছরের মেয়ে সামিহা রহমানকে নিয়ে ২৮তম ও ২৯তম বিসিএসের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। ২৮তম বিসিএসে সুযোগ না পেয়ে ২৯তম বিসিএস এর প্রস্তুতি নেন। অবশেষে ২৯তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারভুক্ত হওয়ার পর ২০১১ সালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১১ সালের আগস্ট মাসে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পারিবারিক জীবনে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী তিনি।
আপনার মন্তব্য