স্টাফ রিপোর্টার
গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৩০-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। তবে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস বাড়িয়ে গত সপ্তাহের মতোই ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি করে।
দেশি পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে হাজারীবাগ কাঁচাবাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা হান্নান জানান, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো দাম কমেনি। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। তাই এখনো ভারতীয় পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে দাম করার বিষয়ে ক্রেতারা বলেন, দাম ১২০ থেকে ৮০ বা ৯০ টাকায় এসেছে। কিন্তু এই দাম কমতিও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক করতে পারেনি। ২৫-৩০ টাকা কেজি পেঁয়াজের দাম না আসা পর্যন্ত দাম স্বাভাবিক বলা যাবে না।
অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, বিআর-২৮ ৫৫ টাকা, পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা।
চালের দাম বাড়তি সম্পর্কে ধানমন্ডির কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা মাসুদ আলম জানান, মাঝখানে চালের দাম কিছুটা কমতে শুরু করছিলো। কিন্তু এখন মোকামের অবস্থা খারাপ হওয়ায় চালের দাম আবারো বাড়ছে।
ধানমন্ডিতে বাজার করতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে চাল, পেঁয়াজ ও সবজি কোনোটার দামই স্বাভাবিক নয়। বাজার দর দিন দিন ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া আগের মতো দাম রয়েছে সকল পণ্যের দাম। সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, শীতের সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি বেগুন প্রকারভেদে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, পটল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিচ ২৫ টাকা, কাচামরিচ ২০ টাকা কমে ১০০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, সিম প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, নতুন আলু ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, প্রতিপিস বাধাকপি ৩০ টাকা, প্রতিপিস ফুলকপি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে ১৫০ থেকে ২২০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের সর্বশেষ বাজার দর প্রতিকেজি কাতল মাছ ২৪০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিংমাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য