ঝালকাঠি থেকে মোঃ বাদল
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার উত্তর চেচরীরামপুর গ্রামে খালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের বিরুদ্ধে একই গ্রামের হারুণ খানের ১৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চেচরীরামপুর মৌজায় জেল নং ২, খতিয়ান নং ৮৭৬ এবং ৬৭৫ এর ২৪২৫ এবং ২৪২৬ নং দাগে মোট ১৯ শতাংশ জমি রয়েছে। যার প্রকৃত মালিক মোঃ হারুণ খান। যা তিনি বাপ দাদার আমল থেকে ভোগ দখল করে আসছেন।
কিন্তু একই গ্রামের খালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী সালমা বেগম এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে উক্ত জমি দখল করে এবং সেখানে বহুতলা বিশিষ্ট ইমারৎ নির্মাণ শুরু করেন।
এ ঘটনায় হারুণ খান তাৎক্ষণিক ভাবে ১১ জনকে আসামী করে ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন সালমা বেগম, আব্দুল খালেক হাওলাদার, সৈয়দ আলী খান, আল আমিন, আবদুর রহিম, আবদুল করিম, রফিক, তারেক, সোহাগ এবং ইমাম হোসেন খান।
আদালত কাঠালিয়া থানার পুলিশকে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কাঠালিয়া থানার পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত এবং মামলার সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন জমা দেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা চলমান থাকায় এলাকার শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় থাকার স্বার্থে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারী ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত আসামী খালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী সালমা বেগমকে ইমারৎ নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামী আদালতের আদেশ অমান্য করে ইমারৎ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে এলাকায় উত্তাপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যে কোন সময় সহিংস ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ হারুন খানের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, খালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী সালমা বেগম এলাকার ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসীর নিয়ে জোরপূর্বক আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে ইমারৎ নির্মাণ করছে। বিষয়টি কাঠালিয়া থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করতে আসে। তখন আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করলে আদালত ইমারৎ নির্মাণ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু আসামীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারৎ নির্মাণ করছেন।
এ ব্যাপারে আসামী সালমা বেগমের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি অন্যের জমিতে ইমারৎ নির্মাণ করছি না। আমার কবলা সম্পত্তিতে ইমারৎ নির্মাণ করতেছি।
কাঠালিয়া থানার এস.আই মনিরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশক্রমে সরেজমিনে তদন্ত এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
ঝালকাঠিতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারৎ নির্মাণ
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮ , ২৩:১৬
আপনার মন্তব্য