স্টাফ রিপোর্টার
নিখোঁজ মেয়ে তাবাসসুমের লাশ মনে করে খুন হওয়া অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ এনে বাড়িতে দাফন করেছিলেন শরীয়তপুরের কালাই মাঝি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাদল মাঝি। কিন্তু দাফনের ৭ দিন পর ২ জুলাই সোমবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছে কিশোরী তাবাসসুম (১৫)। শরীয়তপুরের সহকারী পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাবাসসুম গত ২১ জুন নিখোঁজ হয়। পরে ২৩ জুন সাভারের আশুলিয়া পেট্রোল পাম্পের কাছে স্যুটকেসের ভেতর থেকে এক মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ২৫ জুন ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহটি তাবাসসুমের বলে শনাক্ত করেন তার মামা গোলাম মোস্তফা। ওই রাতেই নিজ বাড়িতে মৃতদেহটি দাফন করে তার পরিবার।
এ ঘটনায় তাবাসসুমের প্রেমিক হিসেবে পরিচিত আজিজ মৃধাকে (১৯) আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তাবাসসুমের মামা গোলাম মোস্তফা। কিন্তু সোমবার (২ জুলাই) আজিজ মৃধার সঙ্গে তাবাসসুম গ্রামে ফিরে আসলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
তাবাসসুম জানান, স্থানীয় তারাবুনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল আজিজ মৃধার সঙ্গে দুই বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত ২১ জুন তারা ঘর বাঁধার উদ্দেশ্যে বান্দরবান পালিয়ে যান এবং পরদিন তারা বিয়ে করেন। এক সপ্তাহ পর বান্দরবান থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে চলে আসেন তারা। সেখানে এসে মরদেহ দাফনের ঘটনা জানতে পেরে সোমবার শরীয়তপুর নিজ গ্রামে চলে আসেন তারা।
এ ব্যাপারে থান্ডার খায়রুল হাসান বলেন, আশুলিয়ায় যে মেয়েটির মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেটি তাবাসসুমের নয়। অন্য কোনও মেয়ের মরদেহ তাবাসসুমের বলে শনাক্ত করে তারা বাড়িতে এনে দাফন করেছেন।
তবে অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরীর দাফন করা মরদেহের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
আপনার মন্তব্য