
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী রাশেদ মালতকে এখনও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। পুলিশ বলছেন, রাশেদ মালতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রাশেদ মালত প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে ওই গৃহ পরিচালিকাকে দিনের পর দিন প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলেছে রাশেদ মালতের স্বজনরা। অপরদিকে পুলিশ প্রশাসনের এই ব্যার্থতা আজ সাধারণ মানুষের মনে আস্থাহীনতায় পরিণত হচ্ছে।
মামলা থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলীমুজ্জামান মীর মালত এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রাশেদ মীর মালত তার বাসায় ৩১ বছর বয়সী এক গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষিতা সুবিচার পেতে পালং মডেল থানা রাশেদ মীর মালতকে প্রধান আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ধর্ষণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষক রাশেদ মালতের বাড়ি নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের ঠাকুর কান্দি গ্রামে। সে মোতালেব মীর মালতের ছেলে।
এ ব্যাপারে ওই গৃহ পরিচালিকার সাথে আলাপ কালে তিনি সংলাপ ৭১. কমকে বলেন, অভাবের তাড়নায় স্বামীর সংসারে অর্থের যোগান দিতে মালত এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার ও মালিক সজিব মালতকে ১৫শ টাকার মজুরীর বিনিময়ে রান্না করে খাওয়াতাম।
গত ২৬ সেপ্টম্বর রাত ৯ টার দিকে রাশেদ মালত ভাত খাওয়ার কথা বলে আমার রুমে ঢুকে আমাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। আমি মান সম্মানের দিক চিন্তা করে বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করিনি। এই ঘটনার পরে আমি বাসা পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যাই। এরপর থেকে রাশেদ মীর মালত আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে উত্যক্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি দেখায়। এ ব্যাপারটি আমার স্বামী জেনে যায় এবং আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
আমি এখন নিরুপায়, বাবার বাড়ীতেও আমার কোন স্থান নেই। শুধু তাই নয়, ধর্ষক রাশেদ মালত শরীয়তপুরে কিছু ক্ষমতাধর ব্যক্তি মাধ্যম আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এখন আমি ভয়ে শংকিত। ধর্ষক রাশেদ মালতের শাস্তির দাবিতে গত ২৫ অক্টোবর রবিবার পালং মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু এতোদিন হয়ে গেলো পুলিশ এখনও রাশেদ মালতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, রাশেদ মালতের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। রাশেদ মালতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মন্তব্য