মাদক বা নেশার কথা শুনলেই শরীরে কাঁটা বিধে। মনের অজান্তেই একটা অদৃশ্য ভয় কাজ করে। এই বুঝি আমার সন্তানটি কোন না কোন মাদকের নেশায় আক্রান্ত হল। একটা সময় ছিল যখন শরীয়তপুরে মাদক বা নেশার কোন উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু আজ শরীয়তপুর জেলাকে মাদক বা নেশা এমন ভাবে আক্রে ধরেছে যে, হাত বাড়ালেই কোমল পানীয় কিংবা ঝাল মুড়ির মত পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের মাদক বা নেশা। জ্ঞাতসারে হোক বা অজ্ঞাতসারেই হোক প্রতিদিনই মাদকের শিকার হচ্ছে এ জেলার নানা বয়সী মানুষ। তবে তুলনামূলক ভাবে ধনী, দরিদ্র ছাড়াও শিশু কিশোররাই বেশী ধাবিত হচ্ছে মাদকের নেশায়। যার ফলে দেশ আজ ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। আর যুব সমাজ হারাচ্ছে তার সোনালী ভবিষ্যৎকে। এই মাদকের উৎস কোথায়-তা আমরা সবাই জানি। সেই সূদূর টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার সীমান্ত পার হয়ে বন্যার পানির মত আমাদের দেশে ঢুকে পড়ছে গাঁজা, ইয়াবাসহ ফেনসিডিলের মত হরেক রকম বিপজ্জনক মাদক। আর এই মাদকের হাত হতে শরীয়তপুরের মানুষকে বাঁচাতে, মাদককে না বলতে এবং মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে ধরতে পুলিশ প্রশাসনও কিন্তু বসে নেই। প্রশাসন মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে ধরতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাঝে মধ্যে দু’এক জনকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসছে। অতি সম্প্রতি কোটাপাড়ার মোড় থেকে ৫হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শুনতে ভাল লাগছে যে, মাদককে না বলতে এবং মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে নির্মূল করতে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ-আল-মামুন “মাদক নির্মূল কমিটি”(মানিক) নামে একটি সামাজিক সংগঠন দার করিয়েছেন। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মাঝে যাতে মাদক বাসা বাঁধতে না পারে, সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা। তার এই মহোতী উদ্দোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং তাকে সর্বাত্তোক সহযোগীতা করার জন্য শরীয়তপুরের সকল সাদা মনের মানুষকে সর্নিবন্ধ অনুরোধ জানাই। পাশাপাশি এটাও বলতে চাই “নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা”।
“নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা”
জানুয়ারি ১০, ২০১৮ , ০৭:৪৭
আপনার মন্তব্য