
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর-১ আসনে নৌকার ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় চলছে। কিন্তু মাঠে নেই বিএনপি। ধানের প্রার্থী এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা এবং জাজিরা উপজেলা মিলে শরীয়তপুর-১ সংসদীয় আসন। এ আসনে ২৩টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। সেখানে নারী-পুরুষ মিলে মোট ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩২৩ জন ভোটার রয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবং বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন (কালু)।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকার রাস্তায় রাস্তায় ঝুলছে নৌকার পোস্টার। চলছে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা। পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছাড়াও সবখানেই নৌকার মিছিল-মিটিংয়ে সরগরম। নির্বাচনি ক্যাম্পে চলছে কর্মী ও সমর্থকদের আড্ডা।
ঠিক উল্টো চিত্র বিএনপি শিবিরে। রাস্তায় চোখে পড়েনি কোনো পোস্টার। নেই কোনো নির্বাচনি ক্যাম্পও। জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, মামলা আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী। তাই এলাকায় থাকেন না তারা। আর যারা রয়েছেন তারাও ভয়ে মাঠে নামছেন না।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নেমেছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার লাগাতে দেখা গেছে। সড়কে অটোরিকশা ও পিকাপে মাইক লাগিয়ে চলছে প্রচার প্রচারণা।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, অপু ভাই যোগ্য লোক বলেই নেত্রী তাকে নৌকার প্রার্থী করেছেন। তিনি এমপি হলে আমাদের এলাকায় অনেক উন্নয়ন হবে। এলাকার নারী-পুরুষ সকলেই তার পক্ষে কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু বলেন, শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির প্রচার প্রচারণায় কোনো বাধা নেই। নির্বাচন সামনে রেখে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। তুবও বিএনপি নালিশ করে। বিএনপি হচ্ছে নালিশ পার্টি।
নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী সাবেক এমপি সরদার একেএম নাসির উদ্দিন (কালু) বলেন, সারাদেশের অবস্থা কী আপনারা জানেন। বিএনপি প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারছে না। প্রচার প্রচারণায় নামলে তাদের গাড়িতে হামলা করা হচ্ছে এবং মামলা দেয়া হচ্ছে। তাই বুঝে শুনে মাঠে নামতে হবে।
আপনার মন্তব্য