
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ.কে.এম এনামুল হক শামীম পানি সম্পদ উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় তার নির্বাচনী এলাকাসহ শরীয়তপুর জেলার সকল নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করেছেন। করছেন মিষ্টি বিতরণসহ রং ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাস।
এদিকে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাট বাজারে আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে। প্রায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে এ জেলায় কোন মন্ত্রী ছিলো না। এ.কে.এম এনামুল হক শামীম মন্ত্রী হওয়ায় শরীয়তপুরের মানুষের আনন্দ যেন বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে রূপ নিয়েছে।
এ.কে.এম এনামুল হক শামীমের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা গ্রামে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনামুল হক শামীম ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ৭০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক আলী দেওয়ান বলেন, শরীয়তপুর-২ আসনে দীর্ঘদিন যাবৎ সংসদ সদস্য হিসেবে ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পীকার কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলী। তিনি এ আসন থেকে ছয় বার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন এ.কে.এম এনামুল হক শামীম। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি উপমন্ত্রী হওয়ায় এই এলাকার জনগনের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমি আশাবাদী তিনি পদ্মার ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন বলেন, দীর্ঘদিন এ এলাকায় কোন মন্ত্রী ছিল না। শামীম ভাইকে মন্ত্রী করায় এলাকার অভাবনীয় উন্নয়ন হবে। নির্বাচনের সময় উন্নয়নের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, এখন মন্ত্রী হিসেবে সে সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন।
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, এনামুল হক শামীম মন্ত্রী হওয়ায় শরীয়তপুরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরণ হলো। এতে করে জননেত্রী শেখ হাসিনার অসমাপ্ত কাজ গুলো সম্পূর্ন হবে। এখন মন্ত্রী হিসেবে সে সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
এ ব্যাপারে এ.কে.এম এনামুল হক শামীম বলেন, আমাদের আস্থার ঠিকানা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বিশ্বাস করে আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন তা পালন করতে প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করব। আর আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের ভালবাসা ও অকুন্ঠ সমর্থন না পেলে এ জায়গায় আসতে পারতাম না। এলাকার মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন। এখন ভাঙ্গন রোধে আরো বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব।
আপনার মন্তব্য