
স্টাফ রিপোর্টার
প্রেমের সম্পর্ক উভয় পরিবার মেনে না নেয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এতে প্রেমিক প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রেমিকা মারা যায়।
১সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জাজিরা থানা ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করেন এবং প্রেমিকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রেমিক রূবেল বাগচি (২০) গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার নইয়ার বাড়ি গ্রামের নিখিল বাগচির ছেলে। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। আর প্রেমিকা আজিজা আক্তার (১৮) জাজিরা উপজেলার বিকে নগর ইউনিয়নের ছোবাহানন্দি মাদবরের কান্দি গ্রামের আয়নাল মোল্লার মেয়ে। সে বিকে নগর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক রূবেলের বন্ধু গোপালঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার গৌতম বাড়ৈ ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শশিকর গ্রামের মৃত তুরিপদ বাড়ৈর ছেলে বাবুল লাল বাড়ৈকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমিক রূবেল বাগচি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে রূবেল জাজিরা উপজেলার বিকে নগর ছোবাহানন্দি মাদবরের কান্দি গ্রামের আয়নাল মোল্লার বাড়িতে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতে আসেন। পরে আয়নাল মোল্লার মেয়ে আজিজার সঙ্গে রূবেল বাগচির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আগস্ট মাসে উভয় পরিবারের লোকজন তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায়। ছেলে হিন্দু এবং মেয়ে মুসলিম হওয়ায় উভয়ের পরিবার তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে রূবেল মোক্তারপুর থেকে বিকে নগর ইউনিয়নের ছোবাহানন্দি মাদবরের কান্দি গ্রামে আজিজার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। উভয়ে সারাদিন ঘুরাফেরা করার পর রাতে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার একটি গাছের নিচে বসে তারা বিষপান করেন। বিষপানে প্রেমিকা আজিজা আক্তার মারা গেলেও প্রেমিক রূবেল বাগচি বেঁচে যান।
প্রেমিক রূবেল বাগচি বলেন, আজিজার সঙ্গে আমার আট মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু উভয় পরিবারের কেউ আমাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই আমরা বিষপান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি।
জাজিরা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মিন্টু মন্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রূবেল বাগচিকে অজ্ঞান এবং আজিজা আক্তারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে রূবেলকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজিজার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জাজিরা থানায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আপনার মন্তব্য