স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহ বন্ধে সেঞ্চুরী করেছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাব্বির আহমেদ। মাত্র নয় মাসে তিনি শতাধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন। তার হস্তক্ষেপে স্কুল পড়–য়া মেয়েরা বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আর এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে অনেক দরিদ্র মেধাবী ছাত্রীর লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আর এ মহৎ কাজটি তিনি করেছেন সকলের সহযোগিতা নিয়ে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাব্বির আহমেদ এ উপজেলায় যোগদানের পর তিনি দেখলেন এখানে প্রচুর বাল্যবিবাহ হয়। যা ভীতিকর। তখন তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, মোঃ সাব্বির আহমেদ ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। মাঝখানে তিনি একমাস ট্রেনিংয়ের জন্য বিদেশ ছিলেন। বিদেশ থেকে আসার পরপরই তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন।
বাল্যবিবাহের হাত থেকে উত্তোরণের জন্য উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের কাজীদেরকে ডেকে আনেন। পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনেক অবৈধ সাব-কাজীর কাছ থেকে রেজিস্টার বই জব্দ করেন। বাল্যবিবাহ ঠেকাতে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গঠন করে দিয়েছেন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি নয় মাসে শতাধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাব্বির আহমেদের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতার কারণেই আমি এ কাজটি সঠিক ভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। দোয়া করবেন যাতে আগামী বিজয় দিবসে ভেদরগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করতে পারি।
আপনার মন্তব্য