আবদুল বারেক ভূইয়া
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে বিয়ে বাড়িতেই মধ্যাহ্ন ভোজ সারলেন পালং মডেল থানার একদল পুলিশ। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের চাঁদসার গ্রামে মিম আক্তার (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেয়া হচ্ছিল। এই সংবাদ ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সম্মিলিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ টিম, প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের একটি টিম, পালং মডেল থানা পুলিশ এবং কিছু সাংবাদিকদের সেখানে পাঠান। তখন বিয়ে বাড়ির লোকজন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যাহ্ন ভোজের প্রস্তাব করেন। কিন্তু মধ্যাহ্ন ভোজে কেউ রাজী না হলেও একমাত্র পুলিশ মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেয়। তখন ব্যাপারটি একটু দৃষ্টিকটু হয়ে দাড়ায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদসার গ্রামের ফান্নু সরদারের মেয়ে মিম আক্তারের বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।এই সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য প্রথমে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিকে বিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। বিয়ে বাড়ির লোকজন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিকে কোন গুরুত্ব না দেয়ায় পরবর্তীতে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ ও সাংবাদিকদের অর্ন্তভূক্ত করেন। যখন বাল্যবিবাহ কমিটি এবং সাংবাদিকরা মিমের বয়স সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করায় ব্যস্ত ঠিক তখনই পালং মডেল থানা পুলিশের এস.আই ফারুক হোসেন তার টিম নিয়ে বিয়ে বাড়ির একটি ঘরের বারান্দায় মধ্যাহ্ন ভোজ শুরু করেন। এ বিষয়ে এস.আই ফারুক হোসেন বলেন, বিয়ে বাড়িতে আমাদের দাওয়াত ছিল না। আমাদের থানার পাশে বাবু ভাই’র ক্রোকারিজের দোকান। সেখানে আমরা আড্ডা করি। বাবু ভাই ওই বিয়ে বাড়িতে ছিল। সে আমাদের জোর করে খাইয়েছে। তাছাড়া আমরাতো বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছি। পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নাই। তাছাড়া যে বাড়িতে বিয়ে বন্ধ করলাম সেই বাড়িতে খাওয়া কোন সামাজিকতায় পড়ে ? বিষয়টি সকলেই বুঝেছে কিন্তু আমার অফিসার বুঝল না।
বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশের মধ্যাহ্ন ভোজ
মে ১৩, ২০১৮ , ২২:২৭
আপনার মন্তব্য