স্টাফ রিপোর্টার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল (বিএসএমএমইউ) বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় নির্যাতনের শিকার এক তরুণীর বাবা এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
ওই তরুণী মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন জানিয়েছেন, হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সোমবার শাহবাগ থানায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য ভোলা থেকে ঢাকায় আসার পর ওই চিকিৎসক এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ওই চিকিৎসক ঘটনাটিকে বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিল ওই তরুণীর স্বজনরা। এ বিষয়ে তাদের পাঠানো এসএমএস তার মোবাইল ফোনে এখনো আছে।
যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার এবং তিনি উচ্চতর কোর্সে পড়ছেন।
তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
মামলায় বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে অভিযু্ক্ত চিকিৎসকের কাছে আসেন ওই তরুণী। অন্য ডাক্তারদের দেখাতে হবে বলে বাবাকে বসিয়ে রেখে ওই চিকিৎসসক তাকে ‘বি’ ব্লকের চারতলার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ জানায়, পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ভর্তি হন ওই তরুণী। সেখানে চিকিৎসা শেষে সোমবার মেয়েকে নিয়ে থানায় এসে মামলা করেন তার বাবা।
শাহবাগ থানার ওসি আরো জানান, ওই তরুণী মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে তিনি অপরাধী কিনা, সেটাও নিশ্চিত হতে হবে। নিরাপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পান, সে বিষয়টিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
তবে যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, ওই তরুণী তার কাছে অক্টোবর থেকে চিকিৎসা করাতেন। মাসে একবার তার কাছে আসতেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর এখানে যোগাযোগ না করে আসায় তরুণীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলে তারা চলে যান। এরপর তারা ফোনে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
আপনার মন্তব্য