
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের উত্তর সৈয়দ বস্তা গ্রামের মৃত হারুন গোলদারের ছেলে মামুন গোলদার (৩৮) এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষক মামুন গোলদারের বাড়ি একই গ্রামে। সে দুই সন্তানের জনক।
আর এ অভিযোগটি দাখিল করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর মা। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে মামুন গোলদারকে গ্রেফেতার করেছে ডামুড্যা থানার পুলিশ।
ডামুড্যা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর সৈয়দবস্তা গ্রামের দিনমজুর নুরুল হকের মেয়ে ৬৪নং উত্তর সৈয়দ বস্তা দাইমুদ্দিন বেপারি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় একই গ্রামের মৃত হারুন গোলদারের ছেলে মামুন গোলদার খাবারের লোভ দেখিয়ে মেয়েটির হাত ধরে স্কুলের পাশে নদীর ধারে ঝোপের কাছে নিয়ে যান এবং জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয় বাবুল নামের যুবক ছুটে আসেন। তখন মামুন গোলদার বাবুলকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাবলু মিয়া বলেন, আমি নদীতে গোসলের জন্য যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে নদীর কিনারায় ঝোপ থেকে একটি মেয়ের চিৎকার শুনি। পরে আমি একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি মামুন গোলদার একটা মেয়েকে ধর্ষণ করতেছে। আমি মামুনকে হাতেনাতে ধরার জন্য এগিয়ে যাই। মামুন আমাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওকে ধরার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধরতে পারিনি।
এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বলেন, আমার মেয়ে একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। অনেক কষ্টে ওকে স্কুলে পাঠাই পড়ালেখা শেখার জন্য। আজ আমার মেয়ের সর্বনাশ করে দিল মামুন। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, কনেশ্বর ইউনিয়নে এক প্রাইমারি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। তার পরই আমরা রাতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। অন্যদিকে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য