
মোঃ ফারুক হোসেন
শরীয়তপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০ বছর বয়সী এক শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে দশম শ্রেণীর এক ছাত্র। ২১ অক্টোবর সোমবার রাতে গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের জসিরগাঁও নন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতাকে অসুস্থ অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। ধর্ষক বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
ঘটনার বিবরণে ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর সোমবার রাত আনুমানিক দশটার দিকে ত্রিশ বছর বয়সী সংসারের বড় মেয়ে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়ির এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান ধর্ষিতার মা। এ সময় তাদের প্রতিবেশী শ্যমল বৈদ্যর পুত্র ইদিলপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র অপু বৈদ্য (১৭) প্রতিবন্ধীর ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি ধর্ষনের ঘটনাটি তার মাকে জানায়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্ষিতার মা লোক লজ্জা ও মান সম্মানের দিক চিন্তা করে ধর্ষণের ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে পরের দিন ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার ভাই বাদি হয়ে ২২ অক্টোবর বিকেলে গোসাইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে ধর্ষক অপু বৈদ্য পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বলেন, ২১ অক্টোবর সোমবার রাতে আমার মেয়ে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়ায় তাকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়ির এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। তখন প্রতিবেশী শ্যমল বৈদ্যর ছেলে অপু বৈদ্য আমার ঘরে ঢুকে আমার প্রতিবন্ধি মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। আমরা তার বিচার চাই।
গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, হিন্দু প্রতিবন্ধী মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী পলাতক বয়েছে। অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।
আপনার মন্তব্য