মোঃ নাসির খান
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের কাঁচিকাটা বাজার কমিটির সভাপতি মিলন মুন্সির বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত টয়লেট নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন কাঁচিকাটা বাজারের স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, কাঁচিকাটা বাজারের লোকদের ব্যবহারের জন্য শরীযতপুর জেলা পরিষদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু তিনি দুই কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট নির্মাণ না করে এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি টয়লেট নির্মাণ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কয়েক মাস আগে কাঁচিকাটা বাজারের দোকানদার এবং ক্রেতা সাধারণের কথা বিবেচনা করে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। সেই টয়লেট নির্মাণের জন্য কাঁচিকাটা বাজার মালিক কমিটির সভাপতি মিলন মুন্সিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সরকারী বিধি মোতাবেক দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি টয়লেট নির্মাণের কথা থাকলেও তিনি পুরান টয়লেটের সাথে লাগিয়ে এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি টয়লেট নির্মাণ করেছেন। যা দেখলে মনে হবে এটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট। পুরাতন টয়লেটটি প্রায় ২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জেলা পরিষদের প্রকৌশলীরা তদারকি করে মিলন মুন্সি কর্তৃক নির্মিত টয়লেটের রহস্য ধরতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা ককন হাওলাদার বলেন, শুনেছি এখানে একটি ডাবল টয়লেট নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মিলন মুন্সি দুই বছর আগের পুরাতন একটি টয়লেটের সাথে জোড়া দিয়ে দুই কক্ষ বানিয়েছেন। বাকী টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন।
কাঁচিকাটা বাজার কমিটির সভাপতি মিলন মুন্সি বলেন, ঐ টয়লেট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আমাকে যেভাবে করতে বলা হয়েছে আমি সেভাবেই করেছি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধা বলেন, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। দেখছি সব ঠিক আছে। আর এমন ভাবে যদি চালাকি করে তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তারপরও দেখছি কি করা যায়।
আপনার মন্তব্য