সাভার প্রতিনিধি
সরকারি কার্যলয় মানেই সেবা গ্রহিতাদের দীর্ঘ লাইন, ভোগান্তি। তার সাথে রয়েছে দালালদের উৎপাত। এমন অভিজ্ঞতায় ছিল আশুলিয়াবাসীর। তবে এ চিরচেনার দৃশ্যটি বদলে গেছে এক কর্মকর্তার উদ্যোগে। এতে যেমন কমেছে ভোগান্তি তার সাথে কমছে সেবা গ্রহিতারদের অভিযোগ। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও দীর্ঘ সময়ের অবসান হওয়ায় স্বস্তির অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছে সেবা প্রার্থীরা। কর্মকর্তার সরাসরি তদারকিতে চলছে মামলা নিষ্পত্তি এবং নিজ হাতে গ্রাহকদের দরকারী কাগজপত্র বিতরণ। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা তৈরী হয়েছে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে।
সাভার উপজেলার ১৪৮.৬৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত হয়েছে আশুলিয়া থানা। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বসবাস করে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এই বিশাল জনগোষ্ঠির সেবা দিতে ২০১৪ সালের ১৪এপ্রিল যাত্রা শুরু করে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল (ভূমি)অফিস। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বড় কোন সাফল্য নামের সাথে যুক্ত হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। শিল্পাঞ্চল খ্যাত আশুলিয়ায় জমি কেনা বেচা ও জমি সংক্রান্ত কাজ দিন দিন বহুগুণ বেড়েছে। ফলে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের (ভূমি) অফিসে কাজের জটলা ছিল নিত্য দিনের ব্যাপার। সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি দালালদের দৌরাত্মে ভোগান্তি পোহাত গ্রাহকরা। তবে পাল্টে গেছে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল অফিসের চির চেনা দৃশ্য। দালাদের দৌরাত্ম চোখে পরে না এখন। সেবা প্রার্থীদের সেবার উন্নয়ন হয়েছে কয়েক গুন। দালালদের ফাদে পা না দিয়ে অতিরিক্ত ফি ছাড়াই সেবা পাচ্ছেন আশুলিয়াবাসী।
রাজস্ব সার্কেল (ভূমি) অফিসে সেবা নিতে আসা শহীদুল জানান, কয়েক বছর আগেও জমি সক্রান্ত বিষয় নিয়ে অফিসে আসতে হয়েছিল। সে সময় দালালদের হাত ছাড়া কোন কাজই সম্পন্ন করা যেত না। নিদির্ষ্ট ফি ছাড়াও গুনতে হয়েছে বাড়তি অর্থ। তবে এবার এসে বিপরীত চিত্র দেখতে পেলাম । দালালদের দেখা যাচ্ছে না আবার সরকারি ফি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি সরকারি দপ্তর ও কার্যালয় এমন দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত হলে ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত কাজ শেষ করা যেত।
আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম জানান, সরাসরি তদারকিতে মামলা নিষ্পত্তি এবং নিজ হাতে গ্রাহকদের দরকারী কাগজপত্র বিতরণের ফলে এখন আর গ্রাহকদের দালালদের খপ্পরে পরতে হচ্ছে না, ভূমি অফিসের কাজেও এসেছে সচ্ছতা। এ প্রক্রিয়া সব সময় চালু রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আপনার মন্তব্য