
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গল মাঝির ঘাটের ইজারাদার মোখলেস মাদবরের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন।
সরকারী বিধি মোতাবেক যাত্রী সাধারণের কাছে থেকে জনপ্রতি ৫টাকা করে টোল আদায় করার কথা থাকলেও তিনি প্রতিটি যাত্রীর কাছে থেকে ১০টাকা করে টোল আদায় করছেন। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে ইজারাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিবাদকারীকে মারধোর করেন। আর এসব ঘটনা প্রশাসনের চোখের সামনেই ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন কি এক অদৃশ্য কারণে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৭/৮ জন লোক টোল ঘরে বসে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা টোল আদায় করছেন। টোল ঘরের পাশে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫টাকা করে টোল নেয়ার নোটিশ ঝুলানো রয়েছে। কিন্তু ইজারাদার মোখলেস মাদবরের বেপরোয়া টোল আদায়ের কারণে নোটিশের বানী নিরবে কাঁদছে।
সদর উপজেলার উত্তর বালুচরা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, আমি ঢাকা যাওয়ার পথে আমার কাছে ১০ টাকা টোল চেয়েছে। আমি ৫ টাকার টোল ১০ টাকা কেন দিবো এই প্রশ্ন করায় ইজারাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমার গায়ে হাত তুলেছে।
সদর উপজেলার তুলাসার গ্রামের আবদুর রহমান ঢালী বলেন, মঙ্গল মাঝির ঘাটে বাড়তি টাকা নেয়া নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার। শুধু যে ঈদ আসলেই বেশী টোল নেয় তা ঠিক নয়। এই বাড়তি টাকা তারা সারা বছরই নেয়। এখানে নিয়ম বলতে কোন কথা নেই। অনিয়মই এখানকার নিয়ম। দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে মঙ্গলমাঝি ঘাটের ইজারাদার মোখলেস মাদবরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমরা টোল বেশী নেই এটা সত্য। এই অতিরিক্ত টোলের টাকা আমরা একা খাই না। এই টাকা থেকেই বিভিন্ন দপ্তরে টাকা পাঠাতে হয়। আপনি কোথায় আছেন, ঘাটে আসেন। এক সাথে বসে চা খাই আর কথা বলি।
এ বিষয়টি নিয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, ঘাটটি পরিচালনার জন্য অনেক লোক প্রয়োজন। অনেক লোকের মধ্যে দু’একটা লোক খারাপ থাকতে পারে। সরকারী ভাবে ৫টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ ৫টাকার জায়গায় ১০টাকা নেয় তাহলে সে অপরাধ করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি এই অভিযোগ বেশ কয়েকবার শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলে দিচ্ছি।
আপনার মন্তব্য