
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত কাগদী দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ট মাওলানা মোঃ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ৪০দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার পরও সহকারী শিক্ষক মাওলানা সগির হোসেনের বিরুদ্ধে তিনি কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।
জানা যায়, মাওলানা ছগির হোসেন কাগদী দাখিল মাদ্রাসার একজন সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ফারিহা ওভারসীজের মোয়াল্লেম হিসেবে কাজ করেন। আর এই মোয়াল্লেমের কাজ করতে গিয়ে তিনি কোন ছুটি ছাড়াই শুধু মাত্র একটি দরখাস্ত জমা দিয়ে মক্কা নগরীতে চলে যান। ৪০দিন পর আবার তিনি মাদ্রাসায় যোগদান করেন। ৪০দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার পর কোন স্বার্থে কেন তাকে মাদ্রাসায় যোগদানের অনুমতি দেয়া হল এবং তার বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে মাওলানা ছগির হোসেন অফিসের টেবিলে থাপ্পর দিয়ে বলেন, “আমি প্রতিবারই যাবো। পারলে কেই যেন ঠেকায়”। তিনি কোন খুটির জোরে এতো বড় কথা বলেন তা এখন সুশীল সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক ছগির হোসেনের সাথে আলাপ করতে গেলে তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে কল দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। যার প্রেক্ষিতে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কাগদী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, “সহকারী শিক্ষক মাওলানা ছগির হোসেন হজ্জ কাফেলা নিয়ে মক্কা যাওয়ার আগে আমার কাছে একটি দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। দরখাস্তে তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি। দীর্ঘদিনের ছুটি মঞ্জুর করার এখতিয়ার আমার নেই। দীর্ঘদিনের ছুটি মঞ্জুর করবেন ম্যানেজিং কমিটি। ম্যানেজিং কমিটির পারবর্তী মিটিংয়ে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে”।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এমারত হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক বছরে ছুটি পান ১৮দিন। সহকারী শিক্ষক মাওলানা ছগির হোসেন কোন কারণ ছাড়া ৪০দিন কিভাবে মক্কা নগরীতে কাটিয়ে আসলেন তা আমার বোধগম্য নয়। বেসরকারী মাদ্রাসার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি। ম্যানেজিং কমিটি ইচ্ছে করলেই এতো দীর্ঘদিনের ছুটি দিতে পারেন না। যদি দীর্ঘ ছুটি নিতে হয় তাহলে আগে ম্যানেজিং কমিটিকে অবগত করে ছুটির আবেদন মঞ্জুর করতে হবে। তারপর উক্ত শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ম্যানেজিং কমিটি একজন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিবেন। যাতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। আর কোন শিক্ষক যদি দায়িত্বে অবহেলা করেন তাহলে মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ট তাকে শো-কজ করতে পারবেন। কাগদী দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ট মাওলানা মোঃ কামরুজ্জামান সহকারী শিক্ষক ছগির হোসেনকে শো-কজ করেছেন কি না তা আমি জানি না।
আপনার মন্তব্য