
স্টাফ রিপোর্টার
নিজের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে মামলায় হুকুমের আসামী করলেন ডাঃ মনিরকে। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোদাচ্ছের হোসেনের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে বেড়িয়ে এসেছে অন্য এক চিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে আঙ্গারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজ রারী, বাবুল রারী, বিল্লাল হোসেন, রিপন শীল, আসাদুজ্জামান এবং এ এস আই আক্রাম এর সাথে আলাপ কালে জানা যায়, আঙ্গারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোদাচ্ছের হোসেন তার ব্যবসা প্রসারের জন্য আঙ্গারিয়া মাছ বাজারের বড় ড্রেনটি দখল করেন এবং পয়ঃনিস্কাশন যাতে না হয় সেজন্য ড্রেনটিকে ঢালাই করে বন্ধ করে দেন। ড্রেনটি যাতে বন্ধ না করেন সে জন্য পাশের এক ব্যবসায়ী বাবুল মাঝির তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু বাবুল মাঝির নিষেধ অমান্য করে মোদাচ্ছের হোসেন ড্রেনটি বন্ধ করার কাজ চালিয়ে যান। এ নিয়ে মোদাচ্ছের হোসেন এবং বাবুল মাঝির সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মোদাচ্ছের হোসেন রড দিয়ে তার নিজের মাথায় নিজেই আঘাত করে এবং বাবুল মাঝিকে ফাসানোর চেষ্টা করেন। আর এই সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ডাঃ মনির এগিয়ে যান উভয়কে মীমাংসার করে দেয়ার জন্য। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। ডাঃ মনিরকে হুকুমের আসামী করে মামলা করেন মোদাচ্ছের হোসেন।
এ ব্যাপারে আঙ্গারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রিপন শীল বলেন, আঙ্গারিয়া মাছ বাজারের শত বছরের পুরানো এই ড্রেনটি দিয়ে মাছ বাজারের সমস্ত ময়লা আবর্জনা পয়ঃনিস্কাশন করা হয়। মোদাচ্ছের হোসেন সেই ড্রেনটি দখল করে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন বাজারের ময়লা আবর্জনা নামবে কি ভাবে ? এ ব্যাপারে বাজার কমিটিকে জানানো হলেও কমিটি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যার কারণেই এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মাঝ থেকে ডাঃ মনির হলেন আসামী। ডাঃ মনির নিরাপরাধ। তার কোন দোষ নেই। কারণ মারামারির সময় আমি তার চুল কেঁটে দিচ্ছিলাম।
এ ব্যাপারে ডাঃ মনিরের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি ১২ তারিখ সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় সেলুনে চুল কাঁটাতে গিয়েিেছলাম। তখন দেখি মোদাচ্ছের হোসেনের লোকজন এবং বাবুল মাঝির লোকজন মারামারি করছে। আমি গিয়েছিলাম উভয় পক্ষকে মীমাংসা করে দিতে। আমি কারো পক্ষেও না, বিপক্ষেও না। কিন্তু মোদাচ্ছের হোসেন আমাকে ১নং আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সু-বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে আঙ্গারিয়া পুলিশ ফাঁরির এ এস আই আক্রামের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, মোদাচ্ছের হোসেনের লোকজন এবং বাবুল মাঝির লোকজন যখন মারামারি করছিল তখন আমি এবং ডাঃ মনির স্যার সেখানে ছিলাম। আমি এবং মনির স্যার উভয় মানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু মনির স্যারকে কেন আসামী করলো সেটা আমার বুঝে আসে না।
আপনার মন্তব্য