স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসে অভিযান চালিয়ে ১৪ কেজি স্বর্ণসহ ছয়জন চোরাকারবারিকে অাটক করেছে র্যাব।
৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রাহাত হারুন খান।
অাটককৃতরা হলেন- তানভীর অাহমেদ (৩৫), রাজু হোসেন (২৩), জালাল হোসেন (২২), অাবুল হোসেন (৩৫), রাজু অাহমেদ ( ৩০) ও অালাউদ্দিন (৩২)।
এর অাগে ২ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকার মহাসড়কের দুটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাসী করে ছয় যাত্রীকে স্বর্ণের বারসহ অাটক করা হয়। এ সময় ওই ছয় যাত্রীর কাছ থেকে ১২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের মূল্য ৬ কোটি টাকা বলে জানায় র্যাব।
রাহাত হারুন খান বলেন, ‘অামাদের কাছে তথ্য ছিল সিলেট থেকে চোরাচালান চক্রের কিছু সদস্য ঢাকায় অবৈধভাবে সোনার চালান অানছে। এর প্রেক্ষিতে অামরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসাই। সেখানে এনা পরিবহনের একটি বাস তল্লাসী করে তাতে থাকা তিন যাত্রীর প্যান্টের পকেট থেকে ৬০ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রীন লাইন নামের আরেকটি বাসে তল্লাসী চালানো হয়। সেখানেও অন্য তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৬০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের ছয়জনের কাছে থাকা ১৪টি মোবাইলও উদ্ধার করা হয়।’
র্যাব-৩ এর উপ-অধিনায়ক আরও বলেন, ‘তারা মূলত বাহক হিসেবে কাজ করে। প্রত্যেকে এ চালানটি তাদের জায়গামতো পৌঁছে দিলে ১৪ হাজার করে টাকা পেত। এর অাগেও তারা প্যান্টের পকেটে করে সোনার বার নিয়ে এসেছে। তবে এদের নেপথ্যে কারা জড়িত তা অারও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে অাসবে।’
এ ছাড়া অাটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের ব্যবসা করে অাসছিল। এভাবে তারা সোনা অানার পর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাশের দেশে পাচার করত। তাদের বিরুদ্ধে অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান রাহাত হারুন।
আপনার মন্তব্য