
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউানয়নের সারেং কান্দি গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা ঘটেছে। ৯ জানুয়ারী বুধবার বিকেল ৫টায় এ সহিংস ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। রফিকুল ইসলাম সারেং নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী তিন জনকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরবর্তী সহিংস ঘটনা এড়ানোর জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আর বাকী আহতরা হলেন রফিকুল ইসলাম সারেং (৩৫), আবুল বাসার সারেং (৬০), মোখলেছ সারেং এবং জয় মিয়া সারেং।
এ ঘটনায় মোঃ জুলহাস সারেং বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আল মামুন সারেং বলেন, এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম সারেং, আবুল বাসার সারেং, মোখলেছ সারেং, তোতা মিয়া সারেং, শাহীন সারেং, সেলিম সারেং, জয় মিয়া সারেংরা ইকবাল হোসেন অপু’র পক্ষে নির্বাচন করেছে। আর আউয়াল হোসেন সারেং, রিফাত সারেং, আবদুর রহিম সারেং এবং বাহার সারেংরা সবাই একই বংশের লোক। তারা সবাই নৌকার নির্বাচন করেছে। মূলত তাদের বংশীয় দ্বন্দ্বের কারণেই এ সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে কোন কারণ ছাড়াই আউয়াল হোসেন সারেং, রিফাত সারেং, আবদুর রহিম সারেং এবং বাহার সারেংরা মিলে প্রতিবেশী মোঃ জুলহাস সারেং, রফিকুল ইসলাম সারেং, আবুল বাসার সারেংয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। এ হামলা মূলত বংশীয় ক্ষমতা বিস্তারের জন্য করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের সরদার বলেন, সারেং কান্দি যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে তা কোন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়। এটি তাদের বংশীয় দ্বন্দ্ব। যারা সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সবাই নৌকার লোক। তারা সকলেই নৌকায় ভোট দিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, বিলাসপুর ইউানয়নের সারেং গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোঃ জুলহাস সারেং কান্দি বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মন্তব্য