
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া ৩৫ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
ওই যুবক বাড়ি নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বেপারী কান্দি গ্রামে। তার নাম রফিকুল ইসলাম মাদবর। তার পিতার নাম আবদুল হামিদ মাদবর। সে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পেশায় তিনি একজন শ্রমিক ছিলেন।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। পরে রাত নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ১৯ মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ২৩ মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যান।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মুনির আহমেদ খান বলেন, নড়িয়া এলাকার ওই বাসিন্দা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় তিনি মারা যান।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম. আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। আইইডিসিআর থেকে ফলাফল পেতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তার পরিবার যে জায়গায় দাফন করতে চায়, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সেখানেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা মরদেহ দাফন করে আসবেন।
এদিকে, ওই ব্যক্তির আশেপাশের পাঁচটি পরিবারকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বেপারী কান্দি গ্রামে। তিনি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি একজন শ্রমিক। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করে তার বাসার আশেপাশের পাঁচটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য