আবদুল বারেক ভূইয়া
শরীয়তপুরে সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির দাম। তবে কয়েক দিন ধরে কেজি প্রতি ৯৫ টাকায় স্থির হয়ে রয়েছে রান্নার অত্যাবশ্যকীয় সবজি পেঁয়াজের দাম।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সবজির দাম সামনে আরো কমবে। তবে পেঁয়াজের দাম কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত।
নভেম্বর মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকা বিক্রি হলেও শেষ সপ্তাহে এসে তা ৯৫ টাকা পৌঁচেছে। সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্যানুযায়ী, কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
6 ডিসেম্বর শরীয়তপুরের ভোজেশ্বর, আংগারিয়া, কাজীরহাট এবং ডগ্রীর কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, আলু ২০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, সিম ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৭০-৯০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৪০ টাকা ও লালশাক ১০ টাকা করে আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
ডিসেম্বরের শুরু দিকে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ক্রেতাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু দাম না কমে উল্টো বেড়ে যাওয়া ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
শরীয়তপুরের পালং কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা আবুল বাশার বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে, যা ভালো খবর। কিন্তু পেঁয়াজের বাজারে যে মূল্যবৃদ্ধি তা মেনে নেওয়া যায় না। এক কেজি পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা অন্যায়। ধোঁকাবাজি করে সরকার ও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কাটছেন।
সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতা পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৯৫ টাকা হওয়ার কারণ হিসেবে আংগারিয়া বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা জাহিদ বলেন, নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। এর সঙ্গে আমদানিগত কিছু সমস্যা হওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গেছে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আশা করা যায় নতুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষেই দাম কমা শুরু হবে পেঁয়াজের।
টানা ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালের বাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকা, বিআর-২৮ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা-পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা।
এছাড়া সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে তেমন একটা অস্থিরতা নেই। কাতল মাছ ২৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ১৮০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, শিংমাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতিপিস সাইজ অনুযায়ী দাম ১৫০-২২০ টাকা।
আপনার মন্তব্য