স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রিফাতুল হোসাইন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরলিয়া গ্রামে কবি কাজী নজরুল ইসলাম জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম দুখু মিয়া। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্রময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। কাজী নজরুল ইসলাম অসাম্প্রদায়িক ও শোষনমুক্ত দেশ ও সমাজ গড়ার মানসে সাহিত্যে বিভিন্ন শাখায় লেখালেখি করেন। এ সব ক্ষেত্রে তিনি সংগ্রামী ও পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির বসবাসের জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন তিনি। সেই বাড়িটিই এখন নজরুল ইনিস্টিটিউট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শরীয়তপুরে কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত
মে ২৭, ২০১৮ , ২৩:০৯
আপনার মন্তব্য