স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরে আহত নির্মাণ শ্রমিক মোস্তফা বেপারী (৪০) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তিনি মারা যান। অভিযোগ রয়েছে, ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক তন্ময় খান ও তার চাচা সুজন খানের হামলায় ওই শ্রমিক আহত হন। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন তারা।
ডামুড্যা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
স্থানীয়রা জানান, ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান গ্রামের জনাবালী বেপারীর ছেলে মোস্তফা বেপারী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই গ্রামের সুজন খানের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে তার বিরোধ হয়। এর জেরে গত মঙ্গলবার রাতে তাকে মারধর করে আহত করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক তন্ময় খান ও তার লোকজন ওই শ্রমিককে মারধর করেন। গত বুধবার তাকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিন দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ মে) রাতে মোস্তফা বেপারি মারা যান।
শ্রমিক মোস্তফা বেপারীর শ্বশুর আলী চাঁন সরদার ডামুড্যা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তন্ময় খানসহ চার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর থেকে তন্ময় খান ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।
দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তন্ময় খানের বাবা মোক্তার হোসেন খান বলেন, ‘সুজনের সঙ্গে মোস্তফার বিরোধের বিষয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে তন্ময় সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তন্ময়কে মামলায় আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক প্রয়োজনে তন্ময় ঢাকায় রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।’
মোস্তফা বেপারীর ভাই হানিফ বেপারী বলেন, ‘তন্ময় ও সুজন আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাদের আঘাতে আমার ভাইয়ের অণ্ডকোষ ফেটে গিয়েছিল। ঢাকা মেডিক্যালে তিন দিন আইসিইউতে রাখার পর গত রাতে আমার ভাই মারা গেছে।’
আপনার মন্তব্য