
স্টাফ রিপোর্টার
পদ্মা ও কীর্তিনাশা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে শরীয়তপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। বন্যার পানিতে নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
শরীয়তপুর জেলা সদর সহ নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, ড্যামুডা উপজেলার অন্তত ৪২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। জেলায় প্রায় ৩ লাখের উপরে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে না। ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। ত্রাণের নৌকা দেখলেই ভিড় করছেন অসহায় মানুষ। সেই সাথে দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট। গরু ছাগল উচ্চু রাস্তায় বেঁধে রাখা হয়েছে। এর ফলে গরুর মালিকরা গরু চুরির হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন।
ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের ১৩ স্থানে বন্যার পানি হাঁটু পর্যন্ত উঠে তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে তিনটি স্থান ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত সাত দিন যাবত ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কে জেলার ও দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নড়িয়া ও জাজিরা, শরীয়তপুর সদর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ পাকা কাঁচা সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আহসান হাবীব বলেন, নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে সড়ক ও নদীর পাড়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০টি বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। গত ১৫ দিনে ৩শ বাড়ি ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য