
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় ভোজেশ্বর কীর্তিনাশা নদীতে গত ২ বছরেও গার্ডার ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও কৃষিপণ্য সরবারাহ সহ ৪টি ইউনিয়নের মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর এলজিইডি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণ করছেন।
এটি বৃহত্তর ফরিদপুর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-ফেস-১ আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর- মহিষখোলা সড়কে ৬ শত মিটার চেইনেজের ৯৯ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ। এটি ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কামার জানি জয়েনভেঞ্জার-আনোয়ারা কনস্ট্রাশন লিঃ নামে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ করছেন।
ব্রিজটি কাজ ২ বছর আগে শেষ হলেও ব্রিজটির দু’পাশে (এপ্রোজ) সংযোগ সড়ক না করার কারণে এলাকাবাসী ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না।
এলাকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সরবরাহ নিয়ে পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা বা খেয়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাদের। আবার অনেক সময় সন্ধ্যার পরে খেয়া পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও গুণতে হয় দ্বিগুণ টাকা।
ভোজেশ্বর বন্দরে সঙ্গে জপসা, নশাসন, রাজনগর, মোক্তারের চর ইউনিয়নের যোগাযোগের জন্য কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মাণ করা সেতুটি কোন কাজে আসছে না। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে গ্রামের বাসিন্দদের।
ভোজেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রব মগদম বলেন, আমাদের ভোজেশ্বর বাজারে লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী অনেক কষ্ট করে খেয়া পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাজারে আনে। তাদের অনেক ভোগান্তি হয়। ব্রিজটি চালু হলে লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ভোজেশ্বর এলাকার ব্যাবসায়ী আব্দুল জলিল সরদার বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তারই অংশ হিসাবে ভোজেশ্বর-মহিষখোল কীর্তিনাশা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু বড় দুঃখের বিষয় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলে ও সংযোগ সড়কের অভাবে আমরা সুবিধা পাচ্ছি না।
জপসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, আমাদের শত বছরের পুরানো বন্দর এই ভোজেশ্বর বাজার। বন্দরের জন্য কীর্তিনাশা নদীর উপর ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংযোগ সড়ক না থাকায় ৪ টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষক, শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে।
শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাজাহান ফরাজী বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের যে সমস্যা ছিল, সেটি ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। ব্রিজটিতে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে কাজ করা হবে। বর্তমানে বন্যার কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজে বিলম্বিত হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য