
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চৌরঙ্গীতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৩ দোকান চিরতরে ভস্মিভূত হয়ে গেছে।
২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত শোয়া ২টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ এক ঘন্টা পরিশ্রমের পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এতো বড় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে কল করা হয়েছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সঠিক সময়ে এসে পৌছাতে পারেনি। পাশাপাশি তাদের গাড়িতে পর্যাপ্ত পানি ছিল না। তারা খালি গাড়ি নিয়ে অগ্নিকান্ড স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। এ অবস্থায় আগুন বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এসব দোকানের মধ্যে ৪টি বড় মুদি দোকান, ১টি হার্ডওয়ারের দোকান, ২টি মোবাইলের দোকান, ১টি খাবারের হোটেল ৩টি চা-বিস্কুটের দোকান, ১টি লন্ড্রির দোকান এবং ১টি ফুলের দোকান ছিল। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন ভূক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, শোয়া ২টার সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ অগ্নিকান্ডটি পরিপূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে এক ঘন্টারও বেশী সময় লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সঠিক সময়ে পৌছাতে পারেনি। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে পানিও ছিল না। ফায়ার সার্ভিস যদি সঠিক সময়ে পৌছাতে পারতো তাহলে হয়তো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান আরও কম হতো বলে আমি মনে করি।
আপনার মন্তব্য