রুপক চক্রবর্তী
প্রতি বছর রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা একটু বেশী থাকায় শাক সবজিসহ মাছ মাংসের দাম অনেক বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ বছর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। যার কারণে ক্রেতা সাধারণের মনে প্রশান্তি ফিরে এসেছে। শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। বেগুনের দাম বৃদ্ধি ছাড়া সকল সাক সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পালং বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রমজানের আগে যে কাঁচাকলা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা এখন সেই কাঁচাকলা ৪০ টাকাই রয়েছে। রমজানের আগে বেগুনের দাম ছিলো ৪০ টাকা, এখন সেই বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পোটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় ১০ টাকা কমেছে। শশার দাম কিছুটা বেড়েছে। ৩০ টাকার শশা এখন ৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
পালং বাজারের এক ক্রেতা সামিনা ইয়াসমিন বলেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে আমরা যে দামে সবজি কিনেছি রমজান মাস শুরু হওয়ার পর দু’একটি সবজি যেমন বেগুন ও শশার দাম বেড়েছে। অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই আছে।
পালং বাজারের আরেক ক্রেতা আবদুর রহমান ঢালী বলেন, মাছের দাম একটু বাড়লেও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই আছে। গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৪শ ৫০ টাকা কেজি কিনেছি। আজও ৪শ ৫০ টাকা করেই কিনলাম। তবে মুরগীর দাম একটু বেড়েছে। কিন্তু তা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নয়।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী সামাদ মুন্সি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ শাক সবজির দাম স্বাভাবিক এবং আগের মতোই রয়েছে, আবহাওয়া খারাপের কারণে দু’একটি পণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তাতে ক্রেতা সাধারণের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না।
শরীয়তপুরে শাক সবজির দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা সাধারণের মনে প্রশান্তি
মে ৩১, ২০১৮ , ০১:১৭
আপনার মন্তব্য