
আহমেদ শাকিল
চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার মোহনায় জেগে ওঠা বালুচরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপটি এখন মিনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
শরীয়তপুর-চাঁদপুর জেলার সীমান্ত ঘেষে গড়ে উঠেছে এ অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্রটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভীর জমছে এ পর্যটন কেন্দ্রটির মন ভোলানো দৃশ্য দেখতে। সরকারী ভাবে না হলেও বেসরকারী ভাবে দর্শকদের ব্যবহারের জন্য পাবলিক টয়লেট, দোকানপাট সহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে নদী ঘেরা বালুচরের দ্বীপটিতে।

বেসরকারি উদ্যোগে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য বসানো হয়েছে কিছু ছাতা আর বেঞ্চ। সেই সাথে রয়েছে প্রকৃতির দেয়া সবুজ কাঁশবন, নদীর মৃদু স্রোত আর ঢেউ। সামুদ্রিক শামুক, ঝিনুক আর বিলাস বহুল হোটেল না থাকলেও কক্সবাজারের সার্বিক পরিবেশ রয়েছে এখানে।
জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, উড়ন্ত পাখির ঝাঁক আর পদ্মা-মেঘনার মিলন মেলা দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভীর জমাচ্ছে এখানে। যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনে সুযোগ পান না তারা এখানে এসে সেই স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন অনায়াসে। এখানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো বড় ঢেউ আর সূর্যাস্তো দেখতে না পারলেও পদ্মানদীর ছোট ঢেউ আর সূর্যাদয় দেখা যায় প্রাণভরে।

এ পর্যটন কেন্দ্রটি শরীয়তপুর থেকে খুব বেশী দূরে নয়। শরীয়তপুরের সখিপুর থানার স্টেশন বাজার থেকে ট্রলারযোগে মাত্র ২০ মিনিটে পৌছে যাবেন আপনার কাঙ্খিত পর্যটন কেন্দ্রে। আর চাঁদপুরের বড় স্টেশন থেকে প্রতি ঘন্টায় নৌকা ছাড়ে। যাতায়াতে প্রয়োজন হয় মাত্র ১৫ মিনিট।
সরকারী ভাবে এ পর্যটন কেন্দ্রটির সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের উদ্যোগে নিলে জনসাধারণের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাবেন বলে জানিয়েছেন আগত দর্শনার্থীরা।
এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে ঘুড়তে আসা আহমেদ শাকিল, শাহাদাৎ হোসেন, নাসির খান নামে কয়েকজন পর্যটক বলেন, কাজের ব্যাস্ততার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুড়তে যাওয়া হয় না। তাই অল্প সময়ের জন্য ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এখানে চলে এসেছি। ভালোই লাগছে। পরিপূর্ণ ভাবে কক্সবাজারের চাহিদা পূরণ না হলেও কিছুটা আনন্দ পাওয়ার যায়। সরকার যদি এ জায়গাটিকে পর্যটনের আওতায় এনে নতুন করে সাজানোর ব্যবস্থা করেন তাহলে দূর-দূরান্ত থেকে আমাদের মতো অনেক পর্যটক আসবেন এ জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

এ ব্যাপারে ভেদেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, পর্যটন কেন্দ্রটি যে এলাকায় রয়েছে, সেই এলাকাটি ভেদরগঞ্জ এলাকায় নয়। সেটি হচ্ছে চাঁদপুর জেলায়। আমি মৎস্য অভিযানের সময় গিয়েছিলাম। পর্যটনের জন্য খুবই ভাল জায়গা। শরীয়তপুর থেকে অনেক কাছে। যারা কক্সবাজার যেতে পারবে না, তারা সেখানে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। আমার মতে, পর্যটনের জন্য এ জায়গাটির ব্যাপারে সরকারের গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমার জায়গায় হলে আমি ডিসি স্যারকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।
আপনার মন্তব্য