স্টাফ রিপোর্টার
পদ্মার অব্যাহত ভাঙ্গনে প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে নড়িয়া এলাকার ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, সরকারি-বেসরকারি ভবনসহ মূলফৎগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
১০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটির অধিকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি আবাসিক ভবনে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ চালু রাখা হলেও হাসপাতালে প্রবেশের সড়কটি বিলিন হয়ে গেছে। যার কারণে কোন রোগী চিকিৎসা নিতে আসতে পারছে না।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পদ্মার পানি কমলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৮ সালে নড়িয়া উপজেলা সদরের চার কিলোমিটার দূরত্বে মূলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে ৩০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালে ওই হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আবাসিক ভবনসহ ১২টি পাকা ভবন রয়েছে। গত রোববার সকাল থেকে উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ৫০ শয্যার হাসপাতালটি গ্রাস করেছে সর্বনাশা পদ্মা। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নতুন ভবনটির ৭৫ ভাগ বিলিন হয়ে গেছে।
কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত ঈমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, আমরা খুবই অসহায়। আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। হাসপাতালটি ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় এ উপজেলার লোকজনের চিকিৎসা সেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপদ দূরত্বে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানাচ্ছি।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুনীর আহমেদ খান বলেন, সোমবার রাতে হাসপাতালের নতুন ভবনটির অধিকাংশ পদ্মা চলে গেছে। আমরা ভবনটি নিলামে বিক্রির জন্য মাইকিং করলেও কোনো লোক আসেনি ক্রয়ের জন্য। হাসপাতালের আরও ১১টি ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
আপনার মন্তব্য