শাকিল আহমেদ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের রশিদ বেপারী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা মিলন বহরের স্ত্রী রুনিয়া বেগমের বিরুদ্ধে তার ৬০ বছর বয়সী শ্বাশুরী ফখরণ নেছাকে কুপিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৫ মে মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ফখরণ নেছা সখিপুর থানায় রুনিয়া বেগমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় রাজা মিয়ার সাথে আলাপ করে জানা যায়, ৩০ বছর আগে মিলন বহরকে রেখে তার বাবা এছহাক আলী বহর মারা যান। পরে তার মা ফখরন নেছা অনেক কষ্ট করে তাকে লালন পালন করেন। ১৫ বছর আগে মিলনের সাথে পাশের গ্রামের বাসিন্দা জালাল মাঝির মেয়ে রুনিয়ার বিয়ে হয়। বর্তমানে মিলন ও রুনিয়রা ৩টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ফখরন নেছা ও রুনিয়া কেউ কাউকে সহ্য করতে পারতেন না। এ নিয়ে প্রতিনিয়তই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
প্রত্যক্ষদর্শী রুনিয়া বেগমের আট বছরের মেয়ে মিলি বলেন, সকাল বেলা দাদী মরিচ খুলছিল। হঠাৎ মায়ের সাথে ঝগড়া লেগে গেলে মা দাদীর ডান হাতে বটি দিয়ে কোপ দেয়। লাঠি দিয়ে দাদীর হাত পায়ে পিটিয়েছে। দাদী এখন হাটতে পারেনা। মায়ে খুব খারাপ। সে আব্বুকেও মারে।
কাঁদতে কাঁদতে ফখরন নেছা বলেন, মিলন দেড় বছর বয়স থাকতে ওর বাবা মারা গেছে। আমি অনেক কষ্টে ছেলেকে বড় করছি। এখন ছেলের বউ আমারে প্রতিদিন মারধর করে। আজ আমারে বটি দিয়ে কোপ দিয়েছে। পায়ের মধ্যে পিটিয়েছে। এখন হাটতে পারি না। এর আগেও আমার মাথা ফাটিয়ে ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি রেখেছিল। আমার নাতিন আমাকে বাঁচিয়েছে।
মিলন মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী সব সময় সামান্য কারণে আমার মাকে মারে। আমারেও মারে। আজ মাকে মেরে সে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। আমি ওরে নিয়ে আর পারছি না। এ বিষয়ে জানতে রুনিয়া বেগমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপরে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.কে.এম মঞ্জুরুল হকের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পত্র এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সখিপুরে পুত্রবধূর বটির কোপে শ্বাশুরী আহত
মে ১৮, ২০১৮ , ০২:০৩
আপনার মন্তব্য