স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে এক লিগ্যাল এইড সার্ভিসের পরিচালকের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। “সারা” লিগ্যাল এইড সার্ভিস নামে একটি বেসরকারি আইনি সহায়তা কেন্দ্রের পরিচালক ফেরদৌস সরদারের বিরুদ্ধে কাবিনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে রুবিনা নামে এক গৃহবধূ। কাবিনের টাকা না পেয়ে ঐ গৃহবধূ ফেরদৌস সরদারের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তিন বছর আগে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বেপারী কান্দির বাসিন্দা বাবুল মোল্যার ছেলে আফজাল মোল্যার সাথে একই ইউনিয়নের গাইন কান্দির বাসিন্দা রফিকুল মাঝির মেয়ে রুবিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় তা বিয়েতে রূপ নেয়। বর্তমানে রুবিনার কোলে ৬ মাস বয়সী একটি পুত্র শিশু রয়েছে। সাংসারিক অসমঝোতার কারণে বিয়ের এক বছর পর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ সময় স্থানীয় সালিশরা কাবিনের টাকা বাবদ আফজালের পরিবার থেকে ১ লক্ষ টাকা রুবিনার পরিবারকে প্রদান করে। কিছুদিন পর রুবিনা নিজেকে গর্ভবতী জানতে পেরে পুণরায় সংসার করার আশায় “সারা” লিগ্যাল এইড সার্ভিসে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ অনুযায়ী “সারা” লিগ্যাল এইডের পরিচালক ফেরদৌস সরদার উভয় পক্ষকে ডেকে আনলে আফজাল রুবিনার সাথে পুণরায় সংসার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় রুবিনার পরিবার কাবিনের ১ লক্ষ টাকা ছেলে পক্ষকে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে “সারা” লিগ্যাল এইড সার্ভিসের পরিচালক ফেরদৌস সরদারের হাতে ৮০ হাজার টাকা তুলে দেয় রুবিনার বাবা রফিকুল মাঝি। কিন্তু মীমাংসার কিছুদিন পর আফজাল তার স্ত্রী রুবিনা এবং তার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে এবং সে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে। স্বামীর অধিকার না পেয়ে রুবিনা কাবিনের টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে “সারা” লিগ্যাল এইড সার্ভিসের পরিচালক ফোরদৌস সরদার তা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ভুক্তভোগী রুবিনা আক্তার বলেন, আমার কাবিনের ৮০ হাজার টাকা ফেরদৌস সরদারের কাছে জমা আছে। টাকা চাইলে তিনি গালাগালি করেন। তিনি বলেন ঐ টাকা আইনের মাধ্যমে নিতে হবে। আমার টাকা আমি ফেরত চাই। রুবিনার মা রাবিয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ের টাকা নিয়া ফেরদৌস সরদার ঘুরাইতাছে। আমরা টাকা ফেরত চাই। এ বিষয়ে “সারা” লিগ্যাল এইডের পরিচালক ফেরদৌস সরদার বলেন, ৬৫ হাজার টাকা আমার কাছে জমা আছে। এ বিষয়ে একটি মামলা কোর্টে চলমান রয়েছে। আমরা যে কোন সময় টাকা দিতে প্রস্তুত, কিন্তু উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌছালেই তা সম্ভব। এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.কে.এম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
“সারা” লিগ্যাল এইড কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কাবিনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
এপ্রিল ২৯, ২০১৮ , ১৯:৩৩
আপনার মন্তব্য