” খোকন সোনার ঈদ “
বাবার কাছে ধরলো খোকন
কতো কি যে বায়না;
বুমবুম ড্যাসিং জামাপ্যান্ট চাই
দেরি যে আর সয় না।
ঈদের নামাজ পড়বে খোকন
বড় ঈদ জামাতে;
কোলাকোলি করবে সে তার
পরিজনের সাথে।
চাচার সাথে বাড়ির পথে
হাটবে নামাজ শেষে;
সেলামিটা নিবে সে যে
হিসেব কষে কষে।
মজার যতো নাস্তা সেমাই
খাবে ফুফুর হাতে;
ঈদ আনন্দে মাতবে খোকন
গাঁয়ের পথে ঘাটে।
মা-বাবাকে বলছে খোকন চলো
আজই গাঁয়ে যাই;
গাঁয়ের মতো ঈদ আনন্দ
কোথাও যে আর নাই।
” ঈদ আনন্দ “
পান্জাবী পা’জামা পরা হলে
আতর মাখব গায়;
টুপি মাথায় দিয়ে আমি
যাব রে ঈদগায়।
কে রাজা আর কে প্রজা
যেন ভেদাভেদ নাই;
এককাতারে ঈদের নামাজ
পড়ব রে সবাই।
মেলা মানুষের মিলন মেলা
জমব ঈদের বেলায়;
কোলাকুলি করব রে ভাই
ভাসব সুখের ভেলায়।
খিচুরী আর নাস্তা সেমাই
খাব ঘুরে ঘুরে;
হাসি খুশি নাচে গানে
হারাব সুরে সুরে।
ঈদ প্রভুর সেরা নেয়ামত
রহমত, মাকফিরাত, নাজাতে;
চল রে চল আনন্দে ভাসি
নয় ভেদাভেদ জাতপাতে।
” ঈদে বাড়ি যাব “
চাকরী সুত্রে আছি আমি
এই ঢাকা শহরে;
পরিবার আর মা-বাবা যে
প্রাণের ভোজেশ্বরে।
ঈদে বাড়ি যাব তাই
শিহরন জাগে হৃদে;
সবার সাথে ঈদ আনন্দে
মাতব গাঁয়ের ঈদে।
মজার যত ফিরনি সেমাই
খাব মায়ের হাতে;
ঈদের নামাজ পড়ব আমি
বাবা ভাইয়ের সাথে।
অফিস ছুটি হল এবার
ঈদের দু’দিন আগেই;
অনলাইনেতে টিকেট কিনছি
একটু আগেভাগেই।
ভীষণ কড়া জ্যাম ঢেলে যে
সদরঘাটে আসি;
প্রাণের টানে গাঁয়ের পানে
লঞ্চ চলেছে ভাসি।
আপনার মন্তব্য