” জুটবে পেতে ভাত “
সূর্য মামা ভীষণ তেজী
ঘাম ঝরছে আজ;
হাসফাস করছি আমি
ফেলে সকল কাজ।
এই গরমে আনারস মাখা যে
খাবো কিনে;
পকেটখালী কি করে তা
খাবো টাকা বিনে।
থাম রে গরম কাজ করি
আমি দিনরাত;
কাজের টাকা পেলেই তবে
জুটবে পেতে ভাত।
” রোজার ছড়া “
এলো এলো এলো রে ঐ
এলো রে রমজান;
খোদার রহম এলো রে ভাই
জাগো মুসলমান।
সেহরী খাবো রোজা রাখবো
পড়বো আল কোরআন;
আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকির করে
জুরাবো এই প্রাণ।
নামাজ যদি না পড়ি ভাই
কেমন রোজা রাখা;
এই রোজাতে লাভ কি বলো
বৃথাই উপাস থাকা।
রোজা রাখলে নামাজ পড়লে
খুশি পরওয়ার;
প্রতিদানে দিবেন তিনি
শ্রেষ্ঠ উপহার।
” অসহায় আত্মচিৎকার “
আহা! একি হালচাল, ছবি যেন শুধু ছবি নয়,
প্রাণহীন, সে তো ছবি হয়েই জীবন্ত বাস্তবতার কথা কয়।
বেয়ারা সময়ের খোঁড়া চালে একটু চাওয়া বাঁচতে চাওয়ার,
সব ছুটেছে অস্তাচলে, ভাল মানুষের দাম কই আর?
মাদক নির্মূলে ইয়াবা’র প্রতিরোধে দৃপ্তকণ্ঠ যার,
সে তো পরম বন্ধু, এটাই কি অন্যায় ছিল তার!
শুনেছি পিতার জন্য কন্যার ভালোবাসার হাহাকার!
স্বামীর জন্য স্ত্রীর আর্তনাদ, অসহায় আত্মচিৎকার।
অপরাধীরা চলছে….ঘুরছে দর্প অহংকারে,
দোষ না করেও নিরপরাধী মরছে টিগারের সামনে পরে।
কেউ কি বলতে পারো কে কার?
আজকাল কেউ কারো নয় আর!
” খোকন সোনার ঈদ “
বাবার কাছে ধরলো খোকন
কতো কি যে বায়না;
বুমবুম ড্যাসিং জামাপ্যান্ট চাই
দেরি যে আর সয় না।
ঈদের নামাজ পড়বে খোকন
বড় ঈদ জামাতে;
কোলাকোলি করবে সে তার
পরিজনের সাথে।
চাচার সাথে বাড়ির পথে
হাটবে নামাজ শেষে;
সেলামিটা নিবে সে যে
হিসেব কষে কষে।
মজার যতো নাস্তা সেমাই
খাবে ফুফুর হাতে;
ঈদ আনন্দে মাতবে খোকন
গাঁয়ের পথে ঘাটে।
মা-বাবাকে বলছে খোকন চলো
আজই গাঁয়ে যাই;
গাঁয়ের মতো ঈদ আনন্দ
কোথাও যে আর নাই।
আপনার মন্তব্য