
জান্নাতুল শাহানাজ রতনা,
সারাদেশের ন্যায় শরীয়তপুরবাসী যখন করোনার আতংকে আতংকগ্রস্থ, চিকিৎসকগণ জীবনের মায়ায় চেম্বার রেখে বাসায় পরিবার পরিজনকে সময় দিচ্ছেন, ঠিক তখনই নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং শরীয়তপুর পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুল ইসলাম।
তিনি শত বাঁধা বিগ্ন উপেক্ষা করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটানা রোগী দেখে যাচ্ছেন। আবার কখন রোগীর বাসায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, রোগীকে সেবা দেয়ার পাশাপাশি রোগীকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করে তুলছেন। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। আবার কখনও কখনও গরীব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদেরকে তার সাধ্যমত খাদ্য সমগ্রী বিতরণ করছেন।
শরীয়তপুরে করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। করোনার বিস্তার রোধ এবং করোনায় যেন কোন লোক আক্রান্ত করতে না পারে সেজন্য গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারী ভাবে শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই সুযোগে অনেক চিকিৎসক চেম্বার রেখে বাসায় অলস সময় কাটাচ্ছেন। অপরদিকে ডাঃ মনিরুল ইসলাম জীবনের মায়া না করে রোগীর সেবা করে যাচ্ছেন।
৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডাঃ মনিরুল ইসলাম একটানা রোগী দেখে চলেছেন। তিনি রোগী দেখার পাশাপাশি রোগীদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাসহ হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহ চিকিৎক বানিয়েছেন রোগীদের সেবা করার জন্য। সারা বছরই রোগী দেখছি। দেশের এখন ক্রান্তিলগ্ন। এই মুহুর্তে যদি রোগীর পাশে না থাকি, তাহলে এসব রোগী তো চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই রোগী দেখছি। যদিও আমার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ছিলো, তারপরেও রোগী দেখছি। কারণ এখন যে সকল রোগী অসুস্থ্য হয়ে আসছে, তারা যদি চিকিৎসা সেবা না পায়, তাহলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরতে হবে না। তারা এমনিতেই মারা যাবে।
আপনার মন্তব্য